লেখকঃ ডাঃ এস এ মালেক
উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য(১)
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,কেন্দ্রীয় কমিটি।
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিট
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় তিনবছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রনে দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে এবংআশা করা যায়বর্তমান সম্পর্ক যে লেভেল রয়েছে তা আরও উন্নত হবে। বিশেষ করে যে-সব জায়গায় বিদুৎ গ্যাস অন্যান্য যানবাহন যাতায়াত বন্দর উন্নয়ন রাজপথ উন্নয়ন
সবক্ষেত্রে যে-সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন সহযোগিতার দু’দেশ আরও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং আর-ও সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যে এবারে প্রধানমন্ত্রী সফল অবদান রাখবেন বলে আমরা আশা করি। ভারত বিশাল বাজার,বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য দ্রব্যের সংখ্যা অনেক।এরমধ্যে যে-সব দ্রব্য ভারতে চাহিদা রয়েছে তা’যাতে সহজে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা যায় আমরা সেই আবেদন রাখবো। দুদেশের সম্পর্ক শুধু মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নয়! Geographically, Naturally এক দেশ আরেক দেশের উপর বেশ কিছুটা নির্ভরশীল। বাংলাদেশের নির্ভরতার মাত্রা বেশী হলেও ভারতও বাংলাদেশের
উপর নির্ভরশীল অনেক ক্ষেত্রে। সুতরাং এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তাছাড়া আমাদের Closest নির্মাণ একটা বিশাল ইকোনমি! ভারত অনেক দিকে এগিয়ে আছে প্রযুক্তিগত ভাবে। আমরা সেই গুলি ব্যবহার করতে পারি তাদের
সহযোগিতায় এবং ভারত বাংলাদেশের থেকে বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে এবং উপকৃত হতে পারে।
দুদেশের বন্ধুত্বতা অটুট থাকা স্বাভাবিক। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সবসময় চেষ্টা করেছে যাতে ভারতের সাথে সম্পর্ক অবমূল্যায়ন হয়। আমরা যাঁরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এবং
স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাস করি আমরা মনে করি ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু।এই বন্ধুত্ব বজায়
রাখতে হলে ভারত বাংলাদেশ উভয়েই সচেতনভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে সহযোগিতার
মনোভাব নিয়ে।প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব নিয়ে, প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে কিন্তু
প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে নয়।