ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল এর উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিনে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

বিডিনিউজ এক্সপ্রেসঃ এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল এর উদ্যোগে অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এবং সিবিএ এর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনে ৭৬ পাউন্ড কেক কেটে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় ।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল। এছারা আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অপারেশন সত্যজিৎ দাস, কোম্পানি সচিব, অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আকবর চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিবুর রহমান, সিবিএ এর সভাপতি কাজী ওবায়দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন ।

অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল বলেন “আমরা আমাদের এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন ।” বক্তব্যের শুরুতে তিনি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান এবং দোয়া মাহফিলে এক আবেগঘন বক্তব্যে মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক  অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল বলেন “আমার রুমে ঝুলানো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি ছবি আপনারা লক্ষ্য করেছেন। ছবিটি রাত ১১ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তোলা আমার একটি স্মরণীয় ছবি। এমন কোন বছর নেই যে বছর সশরীরে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন না করে থাকি।“

তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার কথা বলতে গিয়ে ২০১২ বা ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করার একটি স্মরণীয় ঘটনার কথা সকলের সামনে উপস্থাপন করে বলেন “২০১২ বা ২০১৩ এর দিকে সন্ধ্যা ছয়টার সময় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করার কথা থাকলেও কোনো এক কারণে আমি সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারিনি কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করতে না পেরে আমার মনটা অত্যন্ত খারাপ এবং আবেগঘন হয়ে পড়েছিলাম। তারই ফলশ্রুতিতে আমি ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে আশা ব্যক্ত করলাম রাত দশটা বা ১১ টা বাজলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করার চেষ্টা করে দেখি। আমি আমার এক সহকর্মী ডাক্তার বন্ধুকে বললাম আমি এই রাতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করব। একটি ফুলের তোড়া নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার জন্য আমি যখন প্রস্তুত হলাম আমার সাথে আরেকজন বলল -তুমি কি পাগল হয়েছো-রাত দশটার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তোমার ফুলের শুভেচ্ছা নেওয়ার জন্য বসে আছে,আমি বললাম দেখি না যদি দেখা হয়ে যায়, তিনি যদি দেখা করে বসেন, আমি ফুলের তোড়া নিয়ে গণভবনের সামনে গিয়ে প্রধান মন্ত্রীর পিএস কে ফোন দিলাম, পিএস এত রাত্রে দুঃখ প্রকাশ করল, আমি তাকে অনুরোধ করলাম আমি বললাম আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমার কথাটা একবার বলেন । আমি তখন বিএমএ এর  কোষাধক্ষ্য। কি আনন্দের বিষয় ঠিক ১০ মিনিট পরেই তিনি আমাকে ফোন দিলেন গণভবনের ভিতরে আসার জন্য। আমি আনন্দে কিভাবে যে দৌড়ে গিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য আজও মনে পরে। আমি যখন গণভবনে পৌছালাম  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখে ওপর থেকে নামলেন  এবং জিজ্ঞেস করলেন -তুমি কি ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে দেখা করতে এসেছো নাকি বিএমএ এর পক্ষ থেকে?, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বললাম ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেতো নিশ্চয়ই পাশাপাশি বিএমএ এর এর পক্ষ থেকে এবং সকল চিকিৎসক সমাজের পক্ষ থেকেও  আপনার সাথে দেখা করতে এসেছি নেত্রী, জন্মদিনের শুভেচ্ছা, শুভ জন্মদিন নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সাথে বললেন একটি ছবি তোলো,  ইডিসিএল  এ আমার অফিস কক্ষে ঝুলানো সেই ছবিটিই এটি। “

অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল বলেন “নেত্রী আপনাকে যখন দেখি আমার মনে হয় আপনি একজন মমতাময়ী মা, নেত্রী আপনাকে যখন দেখি তখন আমার মনে হয় আপনি একজন অভিমানী কন্যা, নেত্রী দূর থেকে যখন আপনাকে দেখি তখন মনে হয় আপনি একজন স্নেহধন্য বোন, নেত্রী আপনার সাথে যখন আমি কথা বলি তখন মনে হয় আপনি একজন বন্ধু, নেত্রী আপনাকে যখন মঞ্চে দেখি বা টিভিতে দেখি তখন মনে হয় আপনি শুধু এই দেশেরই  একজন নেত্রী নন আপনি সারা বিশ্বের নেত্রী, নেত্রী আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমাদের এই মায়ের ভাষা বাংলা ভাষায় আপনি বক্তৃতা দিয়ে বিশ্ব শক্তিকে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলেছেন বলেছেন “আজ এই যুদ্ধ, এই মরন মরন খেলা আমাদের দ্বিতীয় বিশ্বের মানুষের জন্য একটি অভিশাপ এগুলো আপনি বন্ধ করুন, পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রনায়ক কে জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই বক্তব্য দিতে দেখিনি, আমি যখন এই বক্তব্য শুনলাম গর্ভে এবং আনন্দে আমার চোখে পানি চলে আসলো। আরেকজন আমাদের জাতির পিতা তিনি জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলেন, বাংলাদেশে বাঙালির ইতিহাসে প্রথম সেই বাংলা ভাষা উচ্চারিত হয়েছিল বিশ্বমঞ্চে,তিনি সেই সময় বলেছিলেন সারাবিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত একজন শোষক এবং একজন শোষিতের, আমি শোষিতের পক্ষে।

তিনি বলেন “নেত্রী আপনি পরিশ্রম করেন শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্যই নয় সারা বিশ্বের মানুষের জন্য, তাইতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বলে হয়তোবা আমরা তাকে হারিয়েছি। এই জন্মদিনে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করি।”

তিনি আরও বলেন “একটি বিষয় মনে রাখবে শেখ হাসিনা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এটার সুফল হয়তোবা আমরা অনেকেই আজ অনুভব করতে পারছিনা কিন্তু যেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা আর পাব না সেদিন আমরা অনুভব করতে পারবো জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে কি দিয়ে গেছেন। একনজরে যদি আমরা সারা বাংলাদেশের দিকে তাকাই তাহলে অজস্র অজস্র কথা বলা যাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের।“

তারিখঃ ৩০/০৯/২২/এ আর