সবুজ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনে চির সবুজ অধ্যাপক (ডা.) এহসানুল কবির জগলুল।

বিডিনিউজ এক্সপ্রেসঃ সবুজ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন থেকে একঘেয়েমি কর্মময় জীবন থেকে ছুটি নিয়ে সপরিবারে ঘুরে এলেন চির সবুজ মনের অধিকারী অধ্যাপক (ডা.) এহসানুল কবির জগলুল মহোদয়। সার্বক্ষণিক সাথে ছিলেন তাহার অনুপ্রেরণাদায়ী স্ত্রী, যাহার অনুপ্রেরণা অধ্যাপক (ডা.) এহসানুল কবির জগলুল এর সাফল্যের চাবিকাঠি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এ ম্যানগ্রোভ বনে গাঢ় সবুজের সমারোহ।  শুধু সবুজ আর সবুজের মেলা। হরেক রকমের জীব-জন্তু, পাখ-পাখালি, আর কীট-পতঙ্গ। বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসা জলভেজা লবণাক্ত বাতাস। তিনি মনের মাধুরী মিশিয়ে উপভোগ করলেন এই অপরূপ সৌন্দর্য, সুন্দরবনের এই অপরূপ সৌন্দর্য প্রফুল্ল করেছেন অধ্যাপক (ডা.) এহসানুল কবির জগলুল এবং তাহার পরিবারকে, সকলের মনের স্মৃতির ঝুড়িতে যোগ হয়েছে এক বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের অভিজ্ঞতা।

সূর্যের গহীন থেকে অনবরত নিঃসরিত ফোটন যেমন বৃক্ষের শক্তি জুগিয়ে সবুজ রূপের সমারোহ ঘটিয়েছে তেমনি সবুজ প্রকৃতি থেকে নিঃসরিত শক্তি মানুষের মনকে চিরসবুজ করে রাখছে, সবুজ করে রাখছে মানুষের যৌবনকে যাহার জলন্ত উদাহারন অধ্যাপক (ডা.) এহসানুল কবির জগলুল

কর্মময় জীবনে হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারীর জীবন মান উন্নয়ন, বাংলাদেশের ১৮ কটি মানুষের জন্য সরকারি ঔষধের চাহিদা মেটানো থেকে শুরু করে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (EDCL) এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নতুন নতুন কাড়খানা স্থাপন করা- এ যেন এক বিশাল কর্মময় জীবন। তাই নতুন উদ্দামে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য এই সবুজ প্রকৃতির বিকল্পই বা আর কি হতে পারে! 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অ্যাডভেঞ্চার, ভয় ও শিহরণের স্থান সুন্দরবন। জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। প্রকৃতির অকৃপণ হাতের সৃষ্টি। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, সাপ, বানর, মাছসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী পৃথিবী বিখ্যাত। অধ্যাপক (ডা.) এহসানুল কবির জগলুল এবং তাহার পরিবার এর কাছে সুন্দরবনের আকর্ষণ তাই দুর্ণিবার।

বিশ্ববিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বনমোরগ, শূকর, হরেক রকম বানর, অজগর, বহু প্রজাতির পাখি, অপরূপ লতাগুল্ম ও বৃক্ষরাজি এবং নদীতে নানা প্রজাতির মাছ রয়েছে। গাছের মধ্যে সুন্দরী, কেওড়া, গরান, বাইন, গেওয়া, পশুর, গোলপাতা, হেতাল, কাঁকড়া, ঝানা, সিংড়া, খলসা যাহা মন কেড়েছেন অধ্যাপক (ডা.) এহসানুল কবির জগ্লুল পরিবারের। নদীতে নানা প্রজাতির মাঝে কুমির ও ভয়াল অজগরসহ প্রায় ৩৩ প্রজাতির সরীসৃপ বাস করে সুন্দরবনে। এছাড়াও শীতকালে অসংখ্য অতিথি পাখির আগমন ঘটে সুন্দরবন অঞ্চলে। প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া সুন্দরবনের এই অপরূপ সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করে। সুন্দরবনে সুন্দরী গাছের প্রাচুর্য থেকে বা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে এর নামকরণ করা হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।উল্লেখ্য, এক পরিসংখ্যান মতে সুন্দরবনে বর্তমানে প্রায় সাড়ে চারশ’ ডোরাকাটা বাঘ বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ত্রিশ হাজারেরও বেশি চিত্রা হরিণের বসবাস। এ ছাড়া মায়া হরিণ, বন্য শূকর, বানর, গুঁইসাপ, ভোঁদড়, ডলফিন, লোনাপানির কুমির, কিং কোবরা, বেঙ্গল কোবরা, অজগর ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে সুন্দরবনে। সুন্দরবনে প্রায় ৩৩০ প্রজাতির গাছপালা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুন্দরী, কেওড়া, পশুর, ধুন্দল, আমুর, গরান, গর্জন, খোলশী, বলা, হেতাল, গোলপাতা, টাইগার ফার্ন, হারগোজা ইত্যাদি। স্থানীয় ও পরিযায়ী মিলে সুন্দরবনে প্রায় ২৭০ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। এর মধ্যে বড় সাদা বক, সি ঈগল, বাজ, মাস্ক ফিঙ্কফুট, বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙা, ফিঙে, সুঁইচোরা, কাঠঠোকরা, বন মোরগ উল্লেখযোগ্য।এছাড়া প্রায় চারশ’ রকম মাছ পাওয়া যায় সুন্দরবন এলাকায়।

তারিখঃ ০৪/০৩/২০২৩/ এ আর