ইডিসিএল বেসরকারি তুলনায় প্রায় চারগুণ কম দামে ওষুধ বিক্রি করে সকল বেতন-ভাতা, অফিস খরচ মিটিয়েও বাৎসরিক আয় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।

বিডিনিউজ এক্সপ্রেসঃ  ঔষধের বেসরকারি মূল্যের চেয়ে প্রায় চারগুণ কম দামে ওষুধ বিক্রি করে, সকল বেতন-ভাতা এবং অফিস খরচ মিটিয়েও বাৎসরিক আয় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা তবুও কেন অভিযোগ!

ইডিসিএল এর বাৎসরিক বিক্রি ১২০০ কোটি, বাৎসরিক লাভ ১৫০ কটি টাকা তা প্রায় ১২.৫%, এটা সম্ভব হয়েছে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর  ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল এর নিরলস পরিশ্রম এবং সততার কারনে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি বন্ধ করেছেন বলে জানা যায়।

বিশেষজ্ঞ ফার্মাসিস্টদের মতামত অনুসারে-জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ওষুধ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ঔষধের কাঁচামালের কার্যকারিতা বা পটেন্সি ক্যালকুলেশন করে 100% পোটেন্সিতে রূপান্তরিত করে ঔষধ উৎপাদন করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে ক্রয় কিত কাঁচামালের পটেন্সি বা কার্যকারিতা কখনোই 100% থাকে না কিন্তু ঔষধ উৎপাদন করার সময় কাচামাল 100% potency তে রূপান্তরিত করে নিতে হয়। 100% potency তে রূপান্তরিত করতে গেলে কিছু পরিমাণ কাঁচামাল বেশি প্রয়োজন পড়ে, য়ার কারণে ক্রয় কৃত কাঁচামালের সাথে উৎপাদিত ঔষধের কিছু পরিমাণ ঘাটতি দেখা দেয়।

ওষুধ উৎপাদন করার জন্য যতটুক কাঁচামাল প্রয়োজন ততটুকু নিয়েই ঔষধ উৎপাদন করা হয়। ফার্মাসিটিক্যাল কম্পানির ডিস্পেন্সিং ডিপার্টমেন্ট থেকে অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং নির্ভুল ভাবে ওজন করে উৎপাদন বিভাগকে ওষুধ উৎপাদন করার জন্য কাঁচামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি ঔষধের কাঁচামালের পরিমাণ নির্ভুল থাকতে হয়।

প্রতিটি ঔষধ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়া (BP) অথবা ইউনাইটেড স্টেট ফার্মাকোপিয়া (USP) অনুসারে নির্দেশিত ফর্মুলা অনুসরণ করে প্রত্যেকটি কাঁচামালের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ পূর্বক ব্যাচ ম্যানুফ্যাকচারিং রেকর্ড (BMR) তৈরি করা হয়। প্রতিটি কোম্পানি তাদের নিজস্ব Batch Size অনুসারে কতটুকু কাঁচামাল প্রয়োজন হবে তাহা ব্যাচ মেনুফেকচারিং রেকর্ডে (BMR) উল্লেখ করা থাকে।  উল্লেখ্য যে, কোন ওষুধ তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনক্রম চাইলেই বেশি পরিমাণ কাঁচামাল ব্যবহার করার সুযোগ নেই বা কম পরিমাণ কাঁচামাল ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ঔষধ তৈরি করার পরে তাহা Quality Control Department  পরীক্ষা করে থাকেন, যদি কোন কাঁচামাল বেশি ব্যাবহার হয়ে যায় বা কম ব্যাবহার হয়ে যায় তাহলে সেই ঔষধ Quality Control পরীক্ষায় বাতিল বলে গণ্য হয় এবং উৎপাদন শেষ হওয়ার পরে উৎপাদিত ওষুধের পরিমান তাহার নির্দিষ্ট রেঞ্জের ভিতরে থাকতে হয়। এখানে চাইলেই কোন পরিমাণ কাঁচামাল বেশি ব্যবহার করে অধিক উৎপাদন করা সম্ভব নয় আবার কোন কাঁচামাল কম ব্যবহার করে কম ঔষধ উৎপাদন করা সম্ভব নয়। সবকিছুই ব্যাচমেনুফেকচারিং রেকর্ড এবং ব্যাচ প্যাকেজিং রেকর্ড অনুসারে Quality Control Department এর ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়।

যানা যায় ইডিসিএল ঔষধ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ধাপে কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।

GMP অনুসারে প্রতিটি ব্যাচ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ওষধ sample হিসেবে সংরক্ষিত করে রাখা হয়, যতদিন এই ওষুধের shelf-life থাকে। যাতে করে যে কোন মার্কেট ক্লেইম আসলে সেই স্যাম্পল থেকে কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট করে দেখা যায় এর কোয়ালিটি (potency) কেমন আছে। যদি কারও কোন সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে বিগত বছরের প্রতিটি ব্যাচের ঔষধের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যাম্পল কুয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট এর সংরক্ষিত আছে সেখান থেকে স্যাম্পল নিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করার সুযোগ অছে।

আরো জানা যায় যে, ইডিসিএল এর চাকরী বা নিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যাধিক বাহ্যিক চাপ থাকে। এর পরেও সকল চাপ মোকাবেলা করে, সকল খরচ মিটিয়ে ইডিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন অধ্যাপক ডাঃ এহ্সানুল কবির জগলুল।

তারিখঃ ১২/০৩/২৩/এ আর