বিডিনিউজ এক্সপ্রেসঃ Promoting the Quality of Medicine Plus বিষয়ক US Aid এর USP ট্রেনিং সার্টিফিকেট বিতরণ কালে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল মহোদয়।
বক্তব্যটি হুবুহু নিচে তুলে ধরা হলো
অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল বলেনঃ স্বামী বিবেকানন্দকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ধর্ম সম্পর্কে আপনি কিছু বলেন? তিনি বলেছেন “যে যে ধর্মই পালন করুকনা কেন- সবার মর্ম বানি এক, কিন্তু অ্যাপ্লিকেশন ভিন্ন ভিন্ন, মানে code of conduct is different” যে যে ধর্মই পালন করেনা কেন you have to be a perfect man, আর একটি কথা দিয়ে আমি শুরু করি “we know practice makes a man perfect but i say training makes a man good performer” ট্রেনিং সম্পর্কে আমার একটি উদাহরণ দেই- আমি যদি ইন্টার্নশিপ না করতাম, ট্রেনিংটা না নিতাম তাহলে আমি যখন মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছিলাম সেখানে আমি কাজ করতে পারতাম না। আমার জানামতে আমাদের সময়ে দুইজন ডাক্তার ইন্টার্নশিপ করে নাই, তারা আমাদের সাথে ইরানে গিয়েছিলো, তাদের মধ্যে একজন ডাক্তার ভুল ইনজেকশন দিয়ে একজন পুলিশ অফিসারকে মেরে ফেলেছিল আরেকজন ডাক্তার নিজের ইচ্ছায় ওই দেশ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু তারা দুজনেই আমার চাইতে ভালো ছাত্র ছিল, আমি সফলতার সাথে চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম হয়েছিলাম কারণ আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ বা ট্রেনিংটা করেছিলাম সঠিকভাবে। আমার বাবা একজন ডাক্তার ছিলেন তিনি আমাকে বলেছিলেন “সারাবছর রাজনীতি করো বা যাই করো আগামী এক বছর ইন্টার্নশিপ বা ট্রেনিংটা করো সঠিকভাবে মনোযোগ সহকারে” বাবার কথা মতে আমি ইন্টার্নশিপ সত্যি সত্যিই খুব মনোযোগ সহকারে করেছিলাম।
একবার ঈদের সময়ে কারা ডিউটি করবে তা নিয়ে প্রচণ্ড হট্টগোল বেধে গেছে হাসপাতালে, সাধারণত ঈদের সময় কেউ হাসপাতালে ডিউটি করার জন্য রাজি হয়না কারণ মেডিকেল স্টুডেন্টদের ভিতরে প্রায় ৭০% থাকে ঢাকার বাহিরের আর ৩০% থাকে ঢাকার স্থায়ী , অন্য জেলার চিকিৎসকগণ বলতেছিল যারা ঢাকায় থাকেন তারা ডিউটি করবে কিন্তু আমি ঢোকার পরে আমাকে আর বলার মত সাহসই পাচ্ছিল না কেউ, কিন্তু আমি জোর দিয়ে বললাম তোমরা সবাই চলে যাও আমি একাই ডিউটি করব ঈদের ভিতরে, আমি বললাম আমি নামাজ পড়বো ঈদের- নামাজ পড়ে ভিতরে ঢুকবো চারদিন পর আমি হাসপাতাল থেকে বের হব, আমি তাই করলাম- আমি মিরপুরের এক নম্বর মাঠে ঈদের নামাজ পড়ে চলে গেলাম হাসপাতালে, আমি সাড়ে তিন দিন শুধু ভিতরেই ছিলাম। আমার আর একটা ফ্রেন্ড ছিল সেও ঢাকার ছেলে, আমি বললাম বন্ধু তুমি চলে আসো।
আমরা এই সাড়ে তিন দিন সার্বক্ষণিক হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিয়েছি। মাছ ধরার ট্যাটা বেধে নিয়ে আসছে সেটা খুলেছি, এক্সিডেন্টের রোগীকে কিভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে হয় তা শিখেছি, সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা সম্পর্কে আমি তখন প্রাকটিক্যালি শিখেছি। আমার এই অভিজ্ঞতাই ইরানে কাজে লেগেছে। ইরানে আমাকে যখন একটি মাউন্টেন এরিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হল যেখানে কেউ থাকতে চায়না, কোন ডাক্তার নেই সেখানে আমি নয় বছর সফলতার সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। আমি দুই দেশে ছিলাম ইরানে এবং কেনিয়াতে কোন দেশেই আমার কোন বদনাম নেই। বরং আমাকে ইনচার্জ করে দিয়েছিল ইমারজেন্সি হাসপাতালের। good performance and training capacity building এর জন্য কত যে গুরুত্বপূর্ণ তা চিন্তাই করা যায় না।
এসেনসিয়াল ড্রাগস এখন কত বড় হয়েছে তা আগে যারা ছিলেন তারা বুঝতে পারবেন, যেখানে বার্ষিক সেল ছিল সাড়ে তিনশ কোটি টাকা এখন তা দাঁড়িয়েছে ১২০০ কোটি টাকায়। যেখানে এই বছর আমরা প্রফিট করবো ১৪০ কোটি টাকা ইনশাল্লাহ। এটা প্রাইভেট কোম্পানি হলে এই প্রফিট দ্বারাতো ৩০০০ কোটি টাকায়। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র আপনাদের পারফরম্যান্সের জন্য। আমরা এই অর্জন করেছি সততার মাধ্যমে, আমরা কস্টিং কমিয়েছি ৩০% থেকে ৪০%। আমাদের যে ক্রয় ব্যয় ছিল সেই ব্যয় কমিয়ে নিয়ে আসছি ৩০% থেকে ৪০% পর্যন্ত।
আমাদের ওষুধ অত্যন্ত গুণগত মানসম্পন্ন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি ওমিপ্রাজল খান ইডিসিএল এর এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের পারফরমেন্সের জন্য। সামনে আরো কঠিন দিন আসছে we are going to established our vaccine project. we are going to established our large project in Manikganj. খুলনাতে গ্লোবস প্রজেক্ট নিয়ে আমরা একটা পর্যায়ে চলে আসছি। আমরা অটোমেশন সিস্টেম চালু করতেছি। তাই আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা অর্জন করতে হবে, আপনারা যারা নতুন প্রজন্ম ট্রেনিং নিলেন আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এই কাজে। আমি খুব আগ্রহের সাথে বসে থাকি কখোন এই ট্রেনিং গুলো হবে। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সর্তেও সময়ের অভাবে এটেন্ড করতে পারিনা। একজন এমডি হিসেবে মেশিন থেকে শুরু করে I should know everything. আর জিএমপির ক্ষেত্রে আমাদের সিকিউরিটি গার্ড থেকে শুরু করে এমডি পর্যন্ত সবাইকেই যার যার কাজের ক্ষেত্রে জিএমপি এর নির্দেশনা জানতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে আপনাদের জ্ঞানের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে। USP এর উপরে US Aid এর কর্মকর্তাবৃন্দ যে ট্রেনিং প্রদান করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। providing training its an art and not so easy. আপনাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ।
তারিখঃ ২০/০৮/২৩/ এ আর