কিশোর মুক্তিযোদ্ধা থেকে ছাত্রলীগ নেতা, ছাত্রলীগ নেতা থেকে জননেতা অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল।

বিডিনিউজ এক্সপ্রেসঃ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা থেকে ছাত্রলীগ নেতা, ছাত্রলীগ নেতা থেকে আজকে অত্যন্ত জনপ্রিয় জননেতা অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল মহোদয়। তিনি কিশোর বয়সে নিয়মিত পত্রিকার পরে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করেই রাজনৈতিক সচেতন হয়েছিলেন।

তিনি ১৯৭২ সালের সেন্ট যোসেফ হাই স্কুল থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন, স্কুলে পড়াকালীন অবস্থাতে টিফিনের টাকা জমিয়ে দুই বন্ধু মিলে পত্রিকা কিনে পড়তেন নিয়মিত। সেই থেকেই তিনি ধীরে ধীরে সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক হয়ে ওঠেন।

পরবর্তীতে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। নটরডেম কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থা থেকেই পরিচয় হয় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের সাথে। নটরডেম কলেজে নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের নেতৃত্বে ঢাকার রাজপথে মিছিলে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের সাথে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।

অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ডাকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ৯ নং সেক্টরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল একজন গর্বিত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা।

অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেয়ে যান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের  স্থান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ছাত্র রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, পরবর্তীতে ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরবর্তীতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তিনি জন্মভূমি লক্ষীপুরের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন পাশাপাশি তিনি নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চিকিৎসক সমাজের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের, একাধারে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। এভাবেই তিনি আজ জননেতায় পরিণত হয়েছেন। তুমি হঠাৎ করে কোন নেতা হয়ে যাননি, তিনি তার কর্মগুণে ধীরে ধীরে একজন ঝোলানো যায় পরিণত হয়েছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু তাই নয় কর্মজীবনেও তিনি একজন সফল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু একাধারে তিনি ইডিসিএল এর সফল ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বার্থে এবং ইডিসিএল এর উন্নয়নের স্বার্থে অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুলকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেব অত্যন্ত প্রয়োজন।

অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন এবং একবার  দলীয় মনোনয়ন পেয়েও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছেন লক্ষীপুর-২ আসনের সকল পর্যায়ের জনসাধারণ।

তারিখঃ ১৮/০৯/২৩/এ আর