বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রবারণা পূর্ণিমা শুধুই বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি উৎসব। আজ আমরা সবাই এখানে জমায়েত হয়েছি এবং এই উৎসব সকলের জন্য।
আমি আনন্দিত যে চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের স্বার্থকতা। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশি।
তিনি বলেন, আমার সামনে পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচ্ছে। অপূর্ব এই দৃশ্যের সঙ্গে যে আনন্দঘন পরিবেশে মানুষ জমায়েত হয়েছেন, তা চট্টগ্রামের ইতিহাসে বিরল। আজকের প্রবারণা পূর্ণিমার সার্থকতা এটাতেই।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বৌদ্ধ মন্দির চত্বরে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রবারণা পূর্নিমার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রাক্তন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সামশুল আলম।
আমীর খসরু বলেন, আমরা সবাই মিলে আমাদের ধর্ম ও ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। আমরা একসাথে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশে আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যা দেখা যাচ্ছে, তা আমাকে অত্যন্ত আনন্দিত করেছে। আমরা জাতীয়তা ও ঐক্যের মাধ্যমে দেশ গড়ার চিন্তা করছি এবং আজকের উৎসব আমাকে সেই পথে অনুপ্রাণিত করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমার লক্ষ্য এই শহরকে ক্লিন, গ্রীন, হেলদি অ্যান্ড সেফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা। এজন্য সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠীর মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ও নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে পারি।
বক্তব্যের শেষে মেয়র কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে নহে কিছু বড়, নহে কিছু মহীয়ান, গাহি সাম্যের গান, যেখানে মিশেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিষ্টান।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, প্রবারণা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমরেশ বড়ুয়া চৌধুরী, অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবু রুবেল বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নির্বাহী সদস্য ও চসিকের প্রাক্তন নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া ও উদযাপন পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী রনি বড়ুয়া চৌধুরী।











