বাড়ছে আক্রান্ত বাড়ছে মৃত্যু প্লিজ বাঙ্কারে চলে যান: সমাজ সেবক মোঃ আলি ইউসুফ

বিডিনিউজ এক্সপ্রেসঃ খাদ্যের দোয়াই দিয়ে বাইরে এসে করোনাকে ঘরে নিবেননা! করোনাক্রান্ত হলে কাউকে পাশে পাবেননা!
আপনি অনাহারে আছেন এমন খবর জানতে পারলে কেউনা কেউ আপনার পাশে দাঁড়াবেই। আপনার প্রতিবেশি কিংবা অন্যকোন স্বজন কিছুনা কিছু খাবার আপনাকে দিবে এটা আমি নিশ্চিত। এখন বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সেখানে খাদ্যের অভাবে কেউ মারা যাবেনা।
হয়ত কেউ দুবেলা খাবেন আবার কেউ একবেলা।
এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সামাজিক শক্তি পৃথিবীর যেকোন দেশের চেয়ে ভালো। আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক মানবিক।
যার ঘরে খাবার আছে সে অন্যকে দিয়ে খায়। কেউ গোপনে দেয় আবার কেউ শো-আপ করতেও দেয়। যেভাবেই দিক, দিচ্ছেতো।
তাই খাবারের দোহাই দিয়ে অন্তত বাইরে আসবেন না।
যেভাবেই হোক অন্ততঃ এক সপ্তাহ বা দুই/তিন সপ্তাহ চলতে পারবেন সবাই।
ঝড় বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ এই সবেও মানুষ দিনের পর দিন গৃহবন্দী হয়ে থাকে।
মহামারী করোনাকে মোকাবিলা করার একমাত্র অবলম্বন সচেতনতা। অর্থাৎ একমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতা দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।
প্রথমেই বলেছি আপনার ঘরে খাদ্য না থাকলে খাদ্য পাবেন কিন্তু আপনি যদি করোনাক্রান্ত হয়ে যান পাশে বা কাছে কাউকেই পাবেননা! এমনকি টাকা পয়সাওয়ালা, ধন সম্পদ ওয়ালা নিকট আত্মীয় বা পরিবারের লোককেও আপনি পাশে পাবেননা।
তাই অনুরোধ করছি খাদ্যের দোহাই দিয়ে রাস্তায় নয় ঘরে থাকুন, খাদ্য ঘরে চলে যাবে। রাস্তায় এসে করোনাকে ঘরে নিবেন না। করোনা ঘরে গেলে কাউকে পাশে পাবেন না!
মনে করুন এখন যুদ্ধ চলছে চলছে, গুলি আসছে, কামামের গোলা আসছে। যুদ্ধের সময় বন্দুকের গুলি থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে চলে যায় মানুষ।
এখন করোনার এই মহামারীকে যুদ্ধের সাথে তুলনা করে বাঙ্কারে থাকুন সবাই। আপনার ঘরই আপনার নিরাপদ বাঙ্কার…….।
লেখক
মোঃ আলি ইউসুফ
বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ময়মনসিংহ
তারিখঃ ০৬/০৭/২১